সমাজকন্ঠ রিপোর্টঃ কানাডার ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির বিচেস-ইস্ট ইয়র্ক রাইডিং অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের ডিরেক্টর ও কমিউনিকেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি কানাডিয়ান শহিদুল ইসলাম মিন্টু।
গত ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় টরন্টোতে অনুষ্ঠিত এজিএমে নির্বাচিত পরিচালক ও কমিটি চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করেন অ্যাসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট গর্ড বেকার।
শহিদুল ইসলাম মিন্টু দীর্ঘদিন ধরে কানাডার ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সঙ্গে কাজ করছেন। বিচেস-ইস্ট ইয়র্ক রাইডিং অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের ডিরেক্টর নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই প্রাপ্তিতে আমি আনন্দিত। আমি মনে করি প্রতিটি দেশের প্রবাসীদের উচিত সে দেশের মূলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়া।
টরন্টো থেকে প্রকাশিত এবং কানাডার সর্বাধিক পঠিত বাংলা পত্রিকা সাপ্তাহিক বাংলামেইল ও দ্য বেঙ্গলি টাইমস.কম’র সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিন্টু স্থানীয় কমিউনিটিতে পরিচিত একটি মুখ।
তিনি দৈনিক আজকের কাগজ, বাংলাবাজার পত্রিকা সহ বাংলাদেশের প্রথমসারির বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিকে গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন।
ঢাকার বিনোদন সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিআর) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন একটানা চার বছর। বাংলাদেশের প্রথম বেটাফরমেটের ফিল্ম ‘দেবদাস’ সহ অসংখ্য আলোচিত টিভি নাটক ও টেলিফিল্ম নির্মাণ করেছেন তিনি।
বাচসাস পুরস্কার, শেরে বাংলা স্বর্ণপদক, বিসিআরএ অ্যাওয়ার্ড, ট্রাব অ্যাওয়ার্ড, চলচ্চিত্র দর্শক ফোরাম অ্যাওয়ার্ড সহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন শহিদুল ইসলাম মিন্টু.
বেশকিছু গ্রন্থের মধ্যে ‘একাত্তর’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিন’ তার আলোচিত গ্রন্থ। ২০০৪ সালে স্বপরিবারে কানাডায় অভিবাসী হবার পর শহিদুল ইসলাম মিন্টু টরন্টো ফিল্ম স্কুল থেকে ডিজিটাল ফিল্মমেকিং এর উপর ডিপ্লোমা করেন।
২০০৯ সালে টরন্টোর সেনেকা কলেজের প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং ইন জার্নালিজম কোর্স করেন। ২০০৮ সালের ১ জুলাই টরন্টো থেকে প্রকাশ করেন নতুন ধারার অনলাইন বাংলা সাপ্তাহিক ‘বেঙ্গলি টাইমস’, যা ‘দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম’ নামে সর্বাধিক পরিচিত।
২০১২ সালে পেয়েছেন ন্যাশনাল এথনিক প্রেস ও মিডিয়া কাউন্সিল অব কানাডা পুরস্কার এবং হেরিটেজ অ্যাওয়ার্ড। ২০১৪ সালে কানাডিয়ান বিজনেস কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে নেগোশিয়েশন কোর্স ও সিএসডাব্লিউ কমপ্লিট করেন তিনি।