Print
 
ঢাকা, ২৬ মার্চ, ২০১৪ (বাসস) : লাখো বাঙ্গালীর সাথে জাতীয় সংগীতে কন্ঠ মিলিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত আনন্দঘন, উচ্ছ্বাসপূর্ণ ‘লাখো কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন’ অনুষ্ঠানে লাখ লাখ জনতার সাথে প্রধানমন্ত্রী গেয়ে ওঠেন- ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি...।’ 
 
 
তিনি আজ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ’লাখো কন্ঠে সোনার বাংলা’ গীত অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও সশস্ত্রবাহিনীর সহযোগিতায় ৪৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনকালে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ার এই কর্মসূচি নেয়া হয়। 
 লাখো কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় রাজধানীর তেজগাঁও প্যারেড গ্রাউন্ড এক ভিন্নমাত্রা লাভ করে। ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ১১টা ২০ মিনিট। আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হয়- ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি...।’ বাংলাদেশ আর বাংলাদেশীদের প্রাণের এ সুর ছড়িয়ে পড়ে প্যারেড গ্রাউন্ডের বাইরে সমগ্র বাংলাদেশে। পুরো পৃথিবী জুড়ে যেখানে যতো বাংলাদেশী বাঙালি রয়েছেন -তারাও কণ্ঠ মিলিয়েছেন লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের জাতীয় সংগীতে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার মহতী আয়োজনে। 
 অনুষ্ঠান শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে উচ্ছ্বসিত কন্ঠে ঘোষণা দেন- ‘বাঙালি সবসময় ইতিহাস সৃষ্টি করে। বাঙালি আবার নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে। আমাদের জাতীয় সংগীত- যে সংগীতের মধ্যদিয়ে আমরা আমাদের ভালোবাসা জানাই আমাদের দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি। যে জাতীয় সংগীত আমাদের স্বাধীনতার চেতনাকে অগ্নিশিখায় প্রজ্জ্বলিত করে, সেই জাতীয় সংগীত লাখো কন্ঠে আমরা গাইবো- যা ইতিহাস হয়ে থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাখো কন্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার এই ইতিহাস আমাদের জাতীয়তাবোধ, দেশপ্রেম গিনেস বুকে রেকর্ড হয়ে থাকবে।
 তিনি বলেন, ‘দেশপ্রেমে শুধু আমরা নই, সারা বিশ্ব জানতে পারবে, এ জন্য আজ এখানে সকলে সমবেত হয়েছি’। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা সকলে সমবেত হয়েছি স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করবো বলে। উদযাপন করবো আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতাকে, যে মাতৃভূমির মাটি ও মানুষকে ভালবাসি, ভালবাসি এর আকাশ ও বাতাসকে।
 সকলে মিলে জাতীয় সংগীত গেয়ে স্বাধীনতার চেতনা জাগ্রত করার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবে।
 প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে আমাদের চেতনাকে শানিত করে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করার চেতনায় উজ্জীবিত করব।
 আয়োজনকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, এ প্যারেড স্কয়ারে নয়, এর বাইরেও সমগ্র বাংলাদেশে হাজার হাজার জনতা সমবেত হয়েছে। এমনকি প্রবাসে যারা রয়েছেন, প্রবাসী বাঙালীরাও এ চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আংশ নিয়েছেন।
 প্রধানমন্ত্রী হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।