
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা যুবকমান্ডের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, ‘কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন প্রদানের সংবাদ অনলাইন নিউজপেপারে পড়ার পরই লাল-সবুজ পতাকা হাতে এই জ্যাকসন হাইটসে খাবার বাড়ির আঙ্গিনায় সর্বপ্রথম আমি শ্লোগান দিয়েছিলাম। এরপর গণজাগরণ মঞ্চ গঠিত হয় এই সিটিতে। তারপর আমরা জাতিসংঘের সামনে এবং সিটির বিভিন্ন স্থানে লাগাতার কর্মসূচি পালন করেছি একাত্তরের ঘাতকদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবিতে।’ জাকারিয়া চৌধুরী অভিযোগ করেন, ‘অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, ঐসব দিনগুলোতে যুুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতার ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। সময়ের বিবর্তনে আজ তারা মাঠে নেমেছেন পদ আর পদবী রক্ষাকল্পে’-মন্তব্য জাকারিয়ার। তিনি বলেন, ‘এই নিউইয়র্ক হচ্ছে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। তাই এই মহানগরের প্রতিটি এলাকায় আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত প্রবাসীরা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে বিএনপি-জামাত-শিবিরের সকল অপতৎপরতা রুখে দেবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরনবী কমান্ডার এবং পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সেক্রেটারী আশরাফুজ্জামান। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় আরো অংশ নেন ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, খুরশিদ আনোয়ার বাবলু, ফারুক হোসেন, শাহীন আজমল, আমিনুল ইসলাম কলিন্স, মাসুদ হোসেন সিরাজী, মুর্শেদা জামান, ইঞ্জিনিয়ার আসাদুল হক, কায়কোবাদ খান, হিরু র্ভূইয়া, খন্দকার গিয়াসউদ্দিন, দরুদ মিয়া রনেল, হেলাল মাহমুদ।