Print

কায়রো, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ (বাসস): ফুটবল খেলা দেখতে রোববার মিশরের কায়রো ফুটবল স্টেডিয়ামে ঢোকার সময়ে হুড়োহুড়িতে ২২ জন নিহত হয়েছে। এ সময় স্টেডিয়ামে উপস্থিত কয়েক হাজার দর্শকের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে কাঁদানে গ্যাস ও গুলি নিক্ষেপ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও চিকিৎসাকর্মীরা জানান, নিহতদের মধ্যে অনেকে পদদলিত হয়ে মারা গেছে। এদের মধ্যে কারো কারো গলার হাড় ভেঙ্গে গেছে। এই ঘটনায় অন্তত আরো ২৫ জন আহত হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একথা জানায়। খবর এএফপি’র। তবে সহিংস পরিস্থিতি সত্ত্বেও খেলা অব্যাহত থাকে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, সংঘর্ষের কারণে সরকার মিশরীয় প্রিমিয়ার লীগ স্থগিত করেছে।
মিশরের অন্যান্য ক্লাবের মধ্যকার খেলার মত জামালেক ও এনবির মধ্যে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি দেখতে জনগণের জন্য স্টেডিয়ামটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ২০১২ সালে পোর্ট সাঈদে এই দুই দলের মধ্যে একটি ম্যাচকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৭০ জন নিহত হয়। ঘটনাটি মিশরের খেলার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববারের এই খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে ১০ হাজারের বেশী দর্শককে অনুমতি দেয়নি। ম্যাচের টিকিটগুলো দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামালেক সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে আতশবাজী নিক্ষেপ করে। জবাবে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুঁড়ে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক পরীক্ষার পর নিহতদের মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যু গুলিতে হয়নি বলে জানা গেছে। পদদলিত হয়েই তারা মারা গেছে এবং কারো কারো গলার হাড় ভেঙ্গে গেছে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মিনা জানায়, আহতদের মধ্যে অনেকের হাড় ভেঙ্গে গেছে।