বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্টের শহীদদের স্মরণ করেছে জাতি। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী। শোকের এদিনে মুখে মুখে উচ্চারিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করার দাবি। এমন দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, যেখানেই থাকুক না কেন বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এছাড়া, বাংলাদেশে ১৫ই আগস্ট যেন আর না ঘটে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী ও শোক দিবস উপলক্ষে এবার ৪০দিনব্যাপী কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। গত ১লা আগস্ট থেকে শুরু হয়ে তা চলবে আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। গতকাল পালিত শোক দিবসের কর্মসূচির মধ্যে ছিল প্রত্যুষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, কালো পতাকা উত্তোলন, কোরআন খতম, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার, কালোব্যাজ ধারণ, মিলাদ মাহফিল, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল। ভোরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়া, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বাংলাদেশস্থ সকল দূতাবাসসহ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সহ সকল বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিওতে শোক দিবসের অনুষ্ঠান সমপ্রচারসহ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। দৈনিক পত্রিকাগুলো জাতীয় শোক দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ সারা দেশের মসজিদগুলোতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এছাড়া মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাগুলোতেও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। (মানবজমিন, ঢাকা, ১৬ আগস্ট ২০১৫, রবিবার)