এডমন্টন, আলবার্টা (সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ) : বাংলাদেশ হেরিটেজ এন্ড এথনিক সোসাইটি অব আলবার্টা একুশে হেরিটেজ পদক ২০১৬ এর জন্য তিনজনের নাম অনুমোদন করেছে। বেসা এ উপলক্ষে নেইটে আয়োজিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় মাসুদ ভূইয়ার সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে:
এ সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে তিনজন পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন দেলোয়ার জাহিদ, মোর্শেদা বেগম, সালমা জাহান। একুশে উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সন্মানজনক পদকগুলো বিতরণ করা হবে.।
দেলোয়ার জাহিদ (বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ ও সাংবাদিকতায় তিন দশক ধরে সবিশেষ অবদানের জন্য), বাসস ও দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি, সমাজকন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক, কুমিল্লা প্রেসক্লাব ও কুমিল্লা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে তার স্বীয় অবদান এবং একাত্তুরে স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় অংশ গ্রহন সহ, -বর্তমানে বাংলাদেশ হেরিটেজ মিউজিয়াম, বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সেন্টার অব আলবার্টার প্রেসিডেন্ট, একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ওবিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, নির্বাসিত মানবাধিকার কর্মী, এবং বেসার সাবেক প্রেসিডেন্ট (২০১৪ ও ২০১৫ মেয়াদে) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
একজন সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে মোর্শেদা বেগম (কমিউনিটি সার্ভিস ও সাংস্কৃতিক সংগঠক), ও সালমা জাহান (বাংলা শিক্ষার প্রসার), এডমন্টন বাংলা স্কুলের পরিচালক/শিক্ষিকা এ পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন।
এ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের সভাপতি মাসুদ ভূঁইয়া, সহসভাপতি (দায়িত্ব প্রাপ্ত) ও কোষাধ্যক্ষঃ অ্যাডওয়ার্ড মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদকঃ ফয়সল ভূঁইয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকঃ সারোয়ার মুহাম্মদ আরিফ, সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ চাঁদনি সুলতানা লস্কর, ইয়ুথ অ্যাফেয়ার্স সম্পাদকঃ মো. হাবিবুর রহমান ও সোসাল অ্যাফেয়ার্স সম্পাদকঃ মুহাম্মদ আলী প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে প্রবাসে মাতৃভাষার মান উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ, ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্য বৃদ্ধির জন্য সকল সংঠনের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ঘোষনা দেন।
বাংলাদেশ হেরিটেজ এন্ড এথনিক সোসাইটি ১৯শে ফেব্রোয়ারী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এডমন্টনের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাকিইউনে নানাবিদ কর্মসূচির আয়োজন করেছে । বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ হেরিটেজ মিউজিয়াম, ও মাহিনুর জাহিদ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশান ২১শে ফেব্রোয়ারী এডমন্টনস্থ এভর্টসফিল্ড পাবলিক লাইব্রেরীতে একটি বই মেলার আয়োজন সহ শিশু-কিশোরদের জন্য নানাবিদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বহু সংস্কৃতির দেশ কানাডায় আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়কে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বিষয়ে উপস্থিত বক্তারা তাদের মতামত তুলে ধরেন।