রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী আজ একথা বলেন। বাংলাদেশ কপিরাইট অ্যান্ড আইপি ফোরাম (বিসিআইপিএফ) ও ঢাকা ট্রিবিউন যৌথভাবে ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা : সীমাবদ্ধতা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
এতে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ও ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেএম শফিউল আলম ভূঁইয়া, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শামীম রেজা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এর সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সামিয়া জামান, বাংলাদেশ কপিরাইট অ্যান্ড আইপি ফোরামের চেয়ারম্যান কাজী জাহিন হাসান ও প্রধান নির্বাহী ব্যারিস্টার এবিএম হামিদুল মিজবাহ এবং ঢাকা ট্রিবিউনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শাহরিয়ার করিম । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করা হলে তা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করবে বলে কোন কোন মহল থেকে আশংকা প্রকাশ করা হয়। এ প্রেক্ষিতেই আজ এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এই নীতিমালাকে ‘দিক নির্দেশনার দলিল’ আখ্যা দিয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, এই নীতিমালার নির্দেশাবলী গ্রহণ করে একটি স্বাধীন সম্প্রচার কমিশন গঠন করা হবে। কমিশনই সব কাজ করবে। সম্প্রচার কমিশন গঠনের আগেই আইনের প্রয়োজন আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইন প্রণীত হলেই সম্প্রচার কমিশন বৈধতা পাবে। তখন কমিশন সব কাজ করতে পারবে। তবে আইন প্রণয়ন না করেও পৃথক আদেশ বলে ‘ সম্প্রচার কমিশন’ গঠন করা সম্ভব। তথ্যমন্ত্রী বলেন, নীতিমালার মাধ্যমে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ নয়, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। নীতিমালা নিয়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এটি আইনে পরিণত হওয়ার আগেই সব বিতর্ক দূর করা হবে। তিনি বলেন, এই নীতিমালা তৈরির জন্য ১৫ সদস্য বিশিষ্ট যে কমিটি করা হয়েছিলো তাদের মধ্যে ৯ জনই দেশের গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। অন্য যারা সরকারি সচিব ছিলেন তারা সাচিবিক দায়িত্ব পালন ছাড়া এই নীতিমালা প্রণয়নে ‘একটি শব্দও’ যুক্ত করেননি। অনুষ্ঠানে বক্তারা জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালাকে সার্বজনীন ও সহজবোধ্য করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। তারা বাক স্বাধীনতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ অক্ষুন্ন রেখে সম্প্রচার মাধ্যমগুলোকে কিভাবে আরও গতিময় ও সমৃদ্ধ করা যায় এবিষয়ে মতামত প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তারা আসন্ন সম্প্রচার আইন প্রণয়নে সম্প্রচার মাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যুক্ত করার আহ্বান জানান। |
|
- << Prev
- Next