মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার জাহিদ ও বাংলাদেশের গল্প দিয়ে শুরু হয়েছে কানাডার অ্যামিটি হাউস ইএসএল ম্যাগাজিন“...and a War Shall Be No More...”।বাংলাদেশী তরুন পেশাজীবি মুহাম্মদ আলীর ভাষায় সাবলীল ইংরেজী লিখনীতে অত্যন্ত ষ্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে, বিদেশ বিভুয়ে তার নিজ প্রবাসী জীবন, নিরবিচ্ছিন্ন সংগ্রাম, জীবনযুদ্ধ এবং কিছু অনুপ্রেরনার কথা।
বাংলাদেশ হেরিটেজ ও জাতিগত সোসাইটি অব আলবার্টার দুই মেয়াদে(২০১৩-২০১৫) দায়িত্ব পালনকারী মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার জাহিদ, ২০১৫ সালে উইলিয়াম হাওরিলেক পার্ক এ উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় উৎসব এডমন্টন হেরিটেজ ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশকে সফলভাবে তুলে ধরায় সৌভাগ্যবান সংগঠকদের একজন তিনি।সেদিন চোখে পড়ার মতো মানুষের ভিড়ে মুখরিত ছিল বাংলাদেশ প্যাভেলিয়ন ।সিটিভি ও স্থানীয় মিডিয়ায় ও সরব ছিলো বাংলাদেশ।প্রায় চল্লিশ লাখ লোকের উপস্থিতিতে সমসাময়িক সময়ে ২০১৫ এর এ মেলাকে স্মরনীয় করে রাখবে।
মোহাম্মাদ আলির নিজস্ব বর্ননায়...যখন ২০১৪ সালে জুনে আমি কানাডায় আসি বাংলাদেশ কমিউনিটি কে খোঁজতে থাকি।আমার এক প্রতিবেশি ভাই মাসুদ ভুইয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ হেরিটেজ সোসাইটির বনভোজনে অংশ গ্রহন করি এবং প্রায় এক মাস পর হেরিটেজ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট দেলোয়ার জাহিদের সাথে সাক্ষাত করি।আমার কানাডায় ১৮ মাসের অবস্থানে দেলোয়ার জাহিদ ছিলেন একজন শিক্ষক ও মেন্টর।
তার সাথে পরিচয়ের সুবাধে জানতে পারি তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।যিনি একাত্তুরে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।তিনি একটি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং একজন বীর যোদ্ধা হিসেবে পরিচিত হয়েছেন।তারপর থেকে তিনি কমিউনিটিকে উৎসাহ দেয়ার জন্য বহু জনকল্যানকর কাজ করেছেন।মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা ও ঘটনা নিয়ে নাটক রচনা ও মঞ্চস্থ করেছেন।
১৯৭৮ সালে অলাভজনক ও সেবামূলক নিবন্ধনকৃত সংগঠনগুলোর জন্য প্রশিক্ষণ ও সহায়তার কাজ করেন।কয়েকবছর পর কুমিল্লা প্রেসক্লাবকে সুসংগঠিত করেন এবং ১৯৮৫-৯২ এ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।১৯৮৬ সালে কুমিল্লা সাংবাদিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করেন এবং সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ ও আইন সহায়তা দেন।
১৯৯৫ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ থেকে জার্মান চলে আসেন ও রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন।তিনি ড, গোইডো স্মীথের তত্বাবধানে ফ্রাইবুর্গ শিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোমি কেন্দ্র শিশুশ্রম নিয়ে গবেষণা করেন।
২০০২ সালে কানাডায় এসে নিয়মিত নিবন্ধ রচনা, বই ও সমসাময়িক বিষয়াদির উপর লেখালেখি শুরু করেন।তিনি এখানে বহু সংস্কৃতির দেশ কানাডায় নিজের দেশকে তুলে ধরতে ব্রতী হন এবং বেশ কটি সংগঠনকে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন যেমনঃ বাংলাদেশ হেরিটেজ সোসাইটি, এমজেএমএফ, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ হেরিটেজ মিউজিয়াম ইত্যাদি।
আমি মনে করি দেলোয়ার জাহিদের মতো লোকের পরামর্শ ও অনুপ্রেরণা নিয়ে কানাডায় আসা নতুন প্রজন্মের অভিবাসীদের নানাহ সেবামূলক কাজে অংশ গ্রহন ও অভিজ্ঞতা অর্জন করা উচিত।
ছবিঃ সিটিভি ও অ্যামিটি হাউস ম্যাগাজিনের সৌজন্যে
লেখকঃ এন, ইসলাম