বাংলাদেশে নির্বাচন পরবর্তী অবস্থায় রাজনৈতিক সংকট নিয়ে এখনো আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ রয়েছে। বিএনপিসহ বেশকটি রাজনৈতিক দল গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করেছে, তাদের সঙ্গে সংলাপের কোনো পরিকল্পনা সরকারের আছে কি না, তা জানতে চেয়েছে কানাডা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম মাহমুদ আলীর সঙ্গে গত মঙ্গলবার দুপুরে এক সৌজন্যসাক্ষাতের সময় ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন এ বিষয়ে জানতে চান। এক বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, যে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দপ্তরে দেখা করেন কানাডার হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন।
হিদার ক্রুডেন সংলাপ নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান, জনজীবনে স্বাভাবিকতা আনতে সরকার সফল হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি এ বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানতে চান, যেসব রাজনৈতিক দল গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করেছে, তাদের সঙ্গে সহিংসতা বন্ধ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া গ্রহণের কথা সরকার
ভাবছে কি না?
এ সময় গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার স্বার্থে সংবিধানের পবিত্রতা রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেরও সমাজে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে। বাংলাদেশও সামাজিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যকে সামনে রেখে রাষ্ট্রব্যবস্থা, সমাজ, দেশ ও জনগণকে সঙ্গে নিয়েই এগোচ্ছে। এ প্রক্রিয়া অন্য দেশের চেয়ে আলাদা হতে পারে। কেননা প্রত্যেকটি দেশেরই উন্নয়নের প্রক্রিয়া আলাদা। সহিংসতা যখন সন্ত্রাসে রূপ নেয়, রাষ্ট্রের তখন এ অপতত্পরতা রুখে দাঁড়ানোর কোনো বিকল্প থাকে না।
কানাডার হাইকমিশনার এ প্রসঙ্গে বলেন, তাঁর দেশ ও তাঁদের প্রধানমন্ত্রী সব সময় কঠোর ভাষায় সহিংসতার নিন্দা জানায়।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কানাডার হাইকমিশনারকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে রানা প্লাজা ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ক্রেতাদের তাদের অঙ্গীকার পূরণের আহ্বান জানান। এ সময় হিদার ক্রুডেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প খাতে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাকে (আইএলও) ৮০ লাখ কানাডিয়ান ডলার দেওয়া হয়েছে।