ঢাকা, ১১ মে, ২০১৪ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের অমানবিক ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনা শোনার পরই আইন-শৃংখলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত আসামীদের সনাক্ত ও তাদের গ্রেফতার করার।’ নারায়ণগঞ্জে নিহত সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারের পরিবারের সদস্যরা আজরাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সংগে দেখা করলে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল একথা জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ সময় আবেগআপ্লুত হয়ে প্রয়াত চন্দন সরকারের স্ত্রী অর্চনা সরকারকে জড়িয়ে ধরেন এবং সান্ত্বনা দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘটনার পরে সরকার নিরব বসে থাকেনি। নারায়ণগঞ্জের র্যাব, পুলিশ এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, একজন নির্বিবাদী নিরীহ কবি মানুষকে যারা হত্যা করেছে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। ঘটনা পরবর্তী সরকারের পদক্ষেপ কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে প্রয়াতের পরিবারের সদস্যরা বলেন, সরকার আন্তরিকভাবে প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে। ‘প্রিয়জনের হত্যার বিচার আমাদের নেত্রীই করতে পারবেন’ উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘আপনি স্বজন হারানোর ব্যথার ভার বহন করছেন। আপনার পক্ষেই সম্ভব বিচার নিশ্চিত করা’। প্রয়াত চন্দন সরকারের স্ত্রী অর্চনা সরকার প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, চন্দন সরকার আইনজীবীর পাশাপাশি একজন কবিও ছিলেন। তিনি চন্দন সরকারের লেখা দু’টি বই প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন। প্রয়াত চন্দন সরকারের স্ত্রী অর্চনা সরকারের সাথে কন্যা ডা. সেজুতি সরকার, ডা. সুস্মিতা সরকার, সাতী সরকার ও সপ্তর্ষি সরকার, জামাতা ডা. বিজয় কুমার পাল, রণজিৎ দেবনাথ ও অমিত সিংহ এবং নাতনী রোদেসী সরকার ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আব্দুস সোবহান সিকদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। |
|