ঢাকা, ১৭ মার্চ, ২০১৪ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু নিজ জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতায় ধাপে ধাপে নিজেকে এবং তাঁর জাতিকে নির্মাণ করেছেন। গণতান্ত্রিক চেতনা ছিল তাঁর ব্যক্তিত্বের মর্মমূলের বিষয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত একক বক্তৃতায় ড. গওহর রিজভী এ কথা বলেন।
আজ বিকেলে একাডেমির রবীন্দ্র চত্বরে একক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। স্বাগত বক্তৃতা দেন একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
অনুষ্ঠানে একক বক্তা গওহর রিজভী বলেন, রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু একই সঙ্গে সংগ্রামী ও শান্তিপূর্ণ উপায়ের সহাবস্থানে বিশ্বাসী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ক্ষমতার কেন্দ্রে সাধারণ মানুষের অধিষ্ঠান নিশ্চিত করতে চেয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষের পরিপূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠার সুদূরপ্রসারী মহৎ লক্ষ্যে ধাবিত ছিল তাঁর রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রনৈতিক অভিযাত্রা।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় বাঙালিকে স্বাধীনতার বৃহত্তর অভিমুখে সংঘবদ্ধ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর পঁচাত্তরে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যার কারণে এখন পর্যন্ত সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে আমাদের প্রত্যাশা- আগামী প্রজন্ম তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজেদের আত্মনিয়োগ করবে।
শামসুজ্জামান খান বলেন, বঙ্গবন্ধু যুগের আকাক্সক্ষাকে বাস্তবরূপ দান করে ইতিহাসে অমরত্ব অর্জন করেছেন। বাংলার ইতিহাসে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে সংশয়ের কোন অবকাশ নেই কারণ বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে তিনিই আমাদের জাতি ও রাষ্ট্রচেতনায় উদ্বুদ্ধ করে বিশ্বমানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন।
বাংলা একাডেমি একক বক্তৃতার আগে শিশু-কিশোরদের জন্য ‘বঙ্গবন্ধুর গল্প শোন’ শিরোনামে আরেকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সুভাষ সিংহ রায় অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। এতে সমবেত শিশু-কিশোরদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর গল্প করেন কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন, শমী কায়সার ও ডা. আবদুর নূর তুষার।
উল্লেখ্য, সকালে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের নেতৃত্বে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।