তিনি বলেন, তার সরকার শক্তি উৎপাদন এবং জনগণের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার মত দুরূহ কাজ দ্রুততম সময়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করেছে। শক্তি উৎপাদনের পাশাপাশি নিরাপদ শক্তি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শক্তির অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার কমিয়ে আনা এবং শক্তির যৌক্তিক ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে আরও অধিক সংখ্যক জনগণকে শক্তি ব্যবহারের আওতায় আনা যায় সে লক্ষ্যে তিনি সবাইকে কাজ করার আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। ‘বিশ্বায়নের ফলে প্রতিনিয়ত বিশ্ববাণিজ্যে একদিকে প্রতিবন্ধকতা এবং অন্যদিকে সম্ভাবনার সৃষ্টি হচ্ছে। অ্যাক্রেডিটেশনকে কারিগরি বাণিজ্য বাধা অপসারণের বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত পদ্ধতি এবং অর্থনৈতিক পাসপোর্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।’ বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন কার্যক্রমে প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ, পরিবেশ রক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ তথ্য ব্যবস্থাপনার মত নতুন নতুন উন্নয়ন নিয়ামক। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বায়নের ফলে সৃষ্ট সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশে উৎপাদিত পণ্য ও সেবার রপ্তানি বৃদ্ধির এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশেও আগামীকাল বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ দিবস উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও সুবিধাভোগীদের শুভেচ্ছা জানান। বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানের জন্য সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ এর উপর গুরুত্বরোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী শিল্পায়নের ফলে শক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শক্তির উৎপাদন, বিতরণ এবং ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন সমস্যা। বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড শক্তি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োজিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সামর্থ্য উন্নয়নে সহায়তা ও স্বীকৃতি প্রদান করবে প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন এতে নিরাপদ শক্তি ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠায় তাঁদের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করবে। শেখ হাসিনা ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০১৪’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। |