ঢাকা, ২০ জুন, ২০১৪ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আরো যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
একটি জাতির উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য শিক্ষিত ও দেশপ্রেমিক নাগরিকের প্রয়োজনীয়তার কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ’যে কোন সমাজে একজন ভাল নাগরিক তৈরী করার প্রাথমিক দায়িত্ব ওই সমাজের প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপরই নির্ভর করে।’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এইচ টি ইমাম আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর রমনায় বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট (আইইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান (ফিজার) ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সম্মানে এ সংর্ধ্বনার আয়োজন করা হয়।
অন্যান্যের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা , প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব কাজী আখতার হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ ও সমিতির উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার এমএম আবুল হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল আওয়াল তালুকদার এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
দারিদ্র্য, কুসংস্কার, অশিক্ষা ও ধর্মান্ধতা একটি জাতির উ্ন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান অন্তরায় - একথা উল্লেখ করে এইচ টি ইমাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার এসব বাধা দুর করেই জাতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রীর চিন্তাপ্রসূত ধারণা ’রূপকল্প-২০২১’-এর পুনরুল্লেখ করে বলেন, এটা কোন স্বপ্নের বিষয় নয়; বরং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে এটা কার্যকর একটি প্রতিরূপ।
’রূপকল্প-২০২১’র অধিকাংশই ২০১২ সালের মধ্যে অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে এইচ টি ইমাম বলেন, উচ্চাকাংখা না থাকলে কারো পক্ষেই যৌক্তিক পর্যায়ের উন্নতি করা সম্ভব নয়। তিনি দেশকে উন্নত বিশ্বের সমপর্যায়ে নিয়ে যেতে দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখানোর ওপর জোর গুরুত্ব প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্তরিকভাবে কাজ করার আহবান জানান।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন,প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের হার যেমন কমেছে তেমনি এনরোলমেন্টও শতকরা এক শ’ ভাগে দাঁড়িয়েছে।
তবে শিক্ষার্থীরা মান সম্মত শিক্ষা পাচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন,একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে সমিতির মহাসচিব সালেহা আখতার প্রাথমিক শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদার কর্মকর্তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন দাবি করেন।