In the meeting at the St. Johns Institute organized by the Canadian Ethnic Media Association (CEMA):
Delwar Jahid, President, Bangladesh PressClub Centre of Alberta and Bangladesh Heritage and Ethnic Society of Alberta with the Police Chief Rod Knecht
Delwar Jahid, President, Bangladesh PressClub Centre of Alberta and Bangladesh Heritage and Ethnic Society of Alberta with the Police Chief Rod Knecht and with the Ethnic Media's Editor in a meeting organized by CEMA
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বার্যাববাংলাদেশ পুলিশ এর অভিজাত অপরাধ বিরোধী এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধী একটি ইউনিট যা গত ২৬শে মার্চ ২০০৪ বিএনপি সরকার আমলে গঠিত এবং যার কার্যক্রম বা অপারেশন শুরু হয়েছে ১৪ এপ্রিল ২০০৪ থেকে। র্যাববাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আনসার সদস্যদের নিয়ে গঠিত. র্যাবগঠন কালে বিএনপি সরকারকে ও তীব্র বিরোধীতা এবং সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিলো। র্যাব নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনার পূর্বে দেখা যাক বিশ্বে এ ধরনের ইউনিট বা ফোর্স কোথায় কিভাবে কার্য্যক্রম পরিচালনা করে। ন্যাটোর বেশ কয়েকটিবিশেষ বাহিনীর আদলে র্যাবএর গঠন বলে মনে হয়েছিলো।ন্যাটো - রাশিয়ারসমসাময়িক রাজনৈতিক ও সামরিকশব্দকোষে এ ধরনের বিশেষ বাহিনীর, বা স্পেশাল অপারেশনস বাহিনী ও স্পেশাল অপারেশনস ফোর্স এর সংজ্ঞা থেকে র্যাবএর গঠন প্রনালীর কিছুটা ধারনা পাওয়া যায়।বিশেষ অপারেশন বাহিনীর-কৌশলগত গঠন এবং যাদের ভূমিকা অন্তর্ঘাত,পরিদর্শন, বিধ্বংসী এবং বিদেশী দেশ,রাজ্যক্ষেত্রেরউপর অন্যান্য বিশেষ অপারেশন পরিচালনা করতে হয় সশস্ত্র বাহিনী, একক . যুদ্ধকালীন তারা যেমন বুদ্ধি , জমায়েত , প্রধান স্থাপনা (ইনস্টলেশন) এর বাজেয়াপ্ত বা ধ্বংস, মানসিক অপারেশন আচার বা শত্রু এর পিছন এলাকায়বিদ্রোহী তৎপরতা,প্রতিষ্ঠানের হিসাবে কাজগুলোতেনিয়োগ করা. রাশিয়ান ফেডারেশন সশস্ত্র বাহিনীরপৃথক বিশেষ অপারেশন বাহিনী ব্রিগেডসহ , বাহিনী ও সামরিক জেলার , মুখপত্র , ফ্লিটস, সৈন্যবাহিনী বা কর্পস এর বুদ্ধিমত্তা সম্পদের সাথে একত্রিত করা হয়....কঠিন ও বিপজ্জনক এবং কখনো কখনো রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল মিশনেরকার্যভার গ্রহণ করার জন্যেসামরিক সহায়তা সহ অনন্য ক্ষমতা ন্যাটো প্রদান করে যা নির্বাচিত সার্ভিসম্যান এর দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি বিশেষ গোষ্ঠী .যেমন রয়েল সামুদ্রিক কমান্ডো বা মার্কিন সেনাবাহিনী রেন্জার্স হিসাবে বিশেষ বহুমুখী পদাতিক ইউনিট থেকে স্বতন্ত্র হয়.
বাংলাদেশে র্যাব একটি বিশেষ বাহিনী বা স্পেশাল অপারেশনস বাহিনীএটাই বোধ হয় র্যাব এর জন্যভালো সংজ্ঞা. বাংলাদেশে র্যাব গঠনের যুক্তিকতা নিয়ে সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, র্যাব এর প্রয়োজনীয়তা কেন হয়েছিল? মানুষের জীবন রক্ষা করা, সন্ত্রাস দমন করা এসব কারনে। সেই প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে তারা যদি না পারে এবং তাদের কর্মকর্তারা যদি অপরাধে জড়িয়ে পড়ে সে অভিযোগ তো মারাত্মক। টাকা নিয়ে মানুষ হত্যাসহ যে সব অভিযোগ উঠে আসছে, তুলে নিয়ে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে, কখনো ছেড়ে দেয়া হচ্ছে, কখনো মেরে ফেলা হচ্ছে এসব অভিযোগ খুব সংবেদনশীল।
বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বা র্যাব এর ভাষায় 'বন্দুকযুদ্ধের' কারণে বাংলাদেশের এবং আন্তর্জাতিক একাধিক মানবাধিকার সংগঠন বাহিনীটির বিষয়ে সমালোচনা মুখর। সেনা, নৌ, বিমান ও পুলিশ এর মতো সুশৃংখল বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে র্যাব গঠিত হলেও শুরু থেকেই র্যাব এর বিরুদ্ধে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বা কথিত 'বন্দুকযুদ্ধের' তীব্র সমালোচনা হচ্ছিল। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সময় এই বিশেষ বাহিনীর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। দাবি উঠছে, এই বাহিনীটি সংস্কারের. বর্তমান পরিস্থিতিতে তা এখন রাজনৈতিক ও বৈদেশিক নীতির উপর উত্তাপ ফেলার মতো সংকটাপন্ন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে. সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে একসঙ্গে সাত ব্যক্তিকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় র্যাবের কয়েকজনের জড়িত থাকার অভিযোগ উত্থাপনের পর এই বাহিনীটির বিলূপ্তি ও সংস্কার বিষয় নিয়ে জোরালো বক্তব্য আসছে। সে বিষয়গুলো তুলে ধরে আজকের এ আলোচনা।
র্যাব বিলুপ্তির দাবি তুলে বেগমখালেদা জিয়া ষ্পষ্টতঃ বলেছেনসরকার র্যাবকে দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে . তিনি দৃঢ়তার সাথে দাবি করেছেন “…স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী এর দায় এড়াতে পারেন না।”গত মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জে গিয়ে তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আবারো র্যাবের বিলুপ্তির দাবি তুলে ধরেছেন এবং এ হত্যাকাণ্ডে অভিযোক্তবাহিনীর সাবেক তিন সদস্যের গ্রেপ্তার ও দাবি করেছেন।র্যাবের বিলুপ্তি প্রসংঙ্গেসাংবাদিকদের বলেছেন, “এ বাহিনী জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। এদের আর প্রয়োজন নেই।…“র্যাব যতদিন থাকবে ততদিন মানুষের মনে আতঙ্ক থাকবে। মানুষ শান্তিতে থাকবে না।”বিএনপিএদাবি করে আসছেযে র্যাবকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
গত ১১ মে, বাসস পরিবেশিত এক সংবাদে প্রকাশ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের অমানবিক ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।…ঘটনা শোনার পরই আইন-শৃংখলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেনসুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত আসামীদের সনাক্ত ও তাদের গ্রেফতার করতে।আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, খুন-গুম বন্ধে সরকার ‘ব্যর্থ’হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, না হলে দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। তারাই আপনাদের পতন ঘটাবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘটনার পরে সরকার নিরব বসে থাকেনি। নারায়ণগঞ্জের র্যাব, পুলিশ এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।…শেখ হাসিনা বলেন, একজন নির্বিবাদী নিরীহ কবি মানুষকে যারা হত্যা করেছে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
তথ্যমন্ত্রী ১৩ মে বলেছেন বঙ্গবন্ধু ও জিয়ার হত্যাকাণ্ডের জন্য বেগম জিয়া সেনাবাহিনীর বিলুপ্তি চাননি, মন্ত্রী ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারে শুভ বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ আয়োজিত ‘বৌদ্ধ ধর্ম ও বিশ্ব শান্তি’শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের ৭ খুনের জন্য র্যাবকে দায়ী করে বেগম জিয়া র্যাব বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। বেগম জিয়া মতলববাজ রাজনীতিক। সশস্ত্র বাহিনীর কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের জন্য সমগ্র বাহিনীকে দায়ী করা যায় না।
আইন ও শালিস কেন্দ্র-মানবাধিকার সংগঠনের প্রধান নির্বাহী সুলতানা কামাল বলেন, এই বাহিনীটির এই অবস্থায় এসে দাঁড়ানোর কারণ এর কর্মকান্ডের ওপর কোনও ধরনের জবাবদিহিতা না থাকা এবং সরকারের নিয়ন্ত্রণহীনতা। এক্ষেত্রে কোনও সরকারই কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি।
মানবাধিকার সংক্রান্ত গবেষণায় এই বিশেষ বাহিনীটির নামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ছাড়া আরও অনেক অভিযোগ তারা পেয়েছেনবলে জানান আইন ও শালিস কেন্দ্র-এর প্রধান নির্বাহী।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের বলেন, বিলূপ্তির বিষয়ে কোনও চিন্তাভাবনা সরকারের নেই। তবে সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে। র্যাব সম্পর্কে এখন অনেক কথা উঠলেও তাদের বড় বড় অনেক সাফল্যও আছে। র্যাবকে এখনো সাধারণ মানুষ চায়। মাথা ব্যাথা হলে মাথা কেটে ফেলার ব্যাপার নয়। র্যাবের সংস্কার করা যেতে পারে। নিয়ম নীতি বা শৃংক্ষলা আরও কঠোর করা যেতে পারে।
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত ‘পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার স্মরণ সভায়আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, র্যাব বিলুপ্তি করলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে- এটা তার (খালেদা) ভ্রান্ত ধারণা, না হয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য। আমি মনে করি, র্যাবের সংস্কার জরুরি।... এ বিলুপ্তির এ ধারা রাজনীতির জন্য সুখকর নয়। বিডিআর বিলুপ্তি করে বিজিবি করাও আমার মনপুত হয়নি। মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান অনস্বীকার্য।
র্যাব বা পুলিশের পেশাদারিত্ব নিয়ে বিভিন্ন সময় নানাহ প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে কিন্তু এদের সংস্কারে সরকার কতটা আগ্রহী? কতটা আগ্রহী বিরোধীদল? অগণতান্ত্রিক সরকারের স্বার্থে যুগে যুগে আইনশৃংখলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। স্বাধীন দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী আজো পুলিশিং ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন আসেনি। র্যাব ও পুলিশ আইনগত ও নৈতিক দায়িত্ব পালনে কতটা সক্ষম তা ঘটনাক্রমিক বিশ্লষন করা কঠিন কিছু নয়। যখন র্যাব বা পুলিশের পেশাদারিত্বের কথা আসে তখন ব্যক্তির চিহ্নিত যে গুণাবলি আমরা খুজি সেগুলো হলো: চরিত্র, মনোভাব, শ্রেষ্ঠত্ব, পারদর্শিতা ও আচার। এসব কেবল সেরা প্রশিক্ষণ, চর্চা ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমেই রপ্ত করা সম্ভব। গণতান্ত্রিক চর্চার সাথে এগুলো সামন্জস্যপূর্ণ হওয়া প্রয়োজন।
উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোর পুলিশের সংখ্যা জনসংখ্যা অনুপাতে কিন্তু সে তুলনায় বাংলাদেশের পুলিশের সংখ্যা অনেক কম, তা সত্বেও অপরাধের হার তেমন বেশী নয়। আমরা সবাই জানি রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ফলে দেশ চরম সঙ্কটের মুখে। সেটা দেশের প্রশাসনসহ সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ছে। একে অপরের প্রতি দোষ ছাড়া রাজনীতিতে ইতিবাচক কোন মনোভাব নেই। অপরাধকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনার পূর্বেই রাজনৈতিক মেরুকরন শুরু হয়ে যায়। সর্বক্ষেত্রে জবাবদিহিতা অনুপুস্থিত বা ক্রুটিপূর্ণ। অথচ বিশ্বশান্তিরক্ষায় অবদানের জন্য জাতিসংঘেরগত৬৭তমসাধারণসভায়বাংলাদেশ যখনপ্রশংসিতহলতখন গর্বে আমাদের মাথা উচু হয়েছে।এপ্রশংসাবাংলাদেশেরসঙ্গেজাতিসংঘেরঅন্যান্যসদস্যরাষ্ট্র, বিভিন্নআন্তর্জাতিকসংস্থাওশান্তিদূতদেরসঙ্গেঅংশিদারিত্বেরসম্পর্কসৃষ্টিতেঅবশ্যইভূমিকারাখবে।সভারপ্রেসিডেন্টভুকজেরেমিক, অন্যান্যসদস্যদেশেরউচ্চপর্যায়েরঅংশগ্রহণকারী, বিভিন্নসংগঠনেরসদস্যএবংএনজিওও বাংলাদেশের ভূয়সীপ্রশংসাকরেন।এ প্রশংসা যারা কুড়িয়ে এনেছেন তারা বাংলাদেশেরই সন্তান। তাহলে সমস্যা মানুষের নয়, সমস্যা রাষ্ট্র ব্যবস্থার।
এ লেখাটির উপর তখনো কাজ করছিলাম, অনেক রাতে ওমনি টিভির সুরেন একটি আমন্ত্রন পাঠালেন। এডমন্টনের পুলিশ প্রধান রড নিচট এথনিক মিডিয়ার সম্পাদকদের সাথে বৈঠক করবেন। কানাডিয়ান এথনিক মিডিয়ার এসোসিয়েশন এর আয়োজক। আমাকে ও থাকতে হবে, বিশেষতঃ আগ্রহ বাড়লো হাতে থাকা লেখাটির কারনে। আমার দুই সহযোগী আহসান ও এন্ডিকে নিয়ে যথারীতি সভাস্থলে পৌছলাম। হাস্যোচ্ছল রড প্রথমেই জানালেন, গাড়ী পাকিং এর বিষয়ে উপস্থিত সবাই যেন সতর্ক হন, কারণ তার নিজ গাড়ীও জরিমানার আওতামুক্ত নয়, পুলিশ প্রধান হলেও তিনি বা যে কেউই আইনের উর্দ্ধে নন।
সভা শুরু হবার পূর্বেই আমি যেন আমার ইস্পিত উত্তরটি খুজে পেলাম। ভদ্রলোকের ৩৭ বছরের পেশাদার জীবনে আলবার্টা্, সাস্কাচুয়ান, ম্যানিটোবা, নর্থ ওয়েষ্ট টেরেটরিজ এবং নভাউট এর আরসিএমপির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এর মধ্যে বলা চলে ম্যানিটোবা আয়তনের দিক থেকে প্রায় ৫টা বাংলাদেশের সমান।
শান্তি এবং সহনশীলতার সংস্কৃতি, চর্চা ও ব্যবহার করেই কানাডা আজ উন্নত দেশের কাতারে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখার মধ্য দিয়েই এসব অর্জন। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সংঘাত ও অসহনশীল পরিবেশের মধ্যেও বিশুদ্ধরূপে সুশীল প্রচেষ্টায় একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠানো হয়েছে যে স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে শান্তি এবং সহনশীলতার সংস্কৃতি ও চর্চা প্রয়োজন। প্রয়োজন আইনের শাসন, যে আইন সবার জন্য সমভাবে প্রযোজ্য।
পুলিশে জবাবদিহীতার বিষয়ে চীফ রড ষ্পষ্ট জানালেন তিনি পুলিশের বড় ধরনের কোন অপরাধ পুলিশ দিয়ে তদন্তের কখনোই পক্ষপাতি নন। এতে জনমনে আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয়। এ কাজ সুচারুভাবে করার জন্য এডমন্টনপুলিশ কমিশনরয়েছে। যা ভবিষ্যতে একটি নিরাপদএবং স্পন্দনশীল শহর তৈরীর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ. পুলিশ ও এডমন্টন পুলিশ সার্ভিস প্রধানেরসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজকরেএকমিশন।পাবলিকজবাবদিহিতা এবং পুলিশেরস্বাধীনতারমধ্যে একটি অপরিহার্য ভারসাম্য সৃষ্টি করা কমিশনেরকাজ।এডমন্টনপুলিশ সার্ভিস কমিশন,এডমন্টনেরনাগরিকপ্রতিনিধিত্বকে যুক্তকরে একটি অ-রাজনৈতিক অবস্থান থেকে রিপোর্ট করে,এবং তারকর্মের জন্য দায়ী করা হয়. কমিশনেরচারটি প্রধানফাংশন আছে: পুলিশ সার্ভিস অধীক্ষা,পুলিশিবিষয়ে নাগরিকদের 'উদ্বেগেসাড়া, বার্ষিক পুলিশি পরিকল্পনা ও বাজেট বিকাশেসাহায্য করে,এবং সম্প্রদায় পার্টনারদের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তোলা.
কজন ব্যক্তি বিশেষের কথিত অপরাধের জন্য বাংলাদেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর নৈতিক মনোবলকে এভাবে ভেঙ্গে দেয়া উচিত নয়। সরকারকে ও অহংবোধ এবং জেদ ত্যাগ করে এখনই পুলিশ ও র্যাব এর সংস্কার করতে হবে। নচেৎ আন্তর্জাতিক ভাবে ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হবে। প্রবাসীরা সকল রাজনীতির উর্দ্ধে দেশে আইনের শাসন প্রত্যাশা করে।
লেখকঃ দেলোয়ার জাহিদ,সভাপতি বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সেন্টার অব আলবার্টা, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন অব হিউম্যান রাইটস, কুমিল্লা. কানাডা'র আলবার্টা ও সাস্কাচুয়ানপ্রদেশের কমিশনার অব ওথস।
ফোনঃ ১ (৭৮০) ২০০-৩৫৯২