ঢাকা, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ (বাসস) : ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিরাজমান সংকট নিরসনে সংস্কৃতি কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দেশের বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
‘ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। এজন্যই আমরা আশা করেছিলাম যে দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান সংকটগুলোর সমাধান হবে। রাজনৈতিক কারণে অনেক কিছু হয়তো সম্ভব হয় না। কিন্তু দুই দেশের কবি, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতি কর্মীরা একত্র হয়ে এসব রাজনৈতিক সংকট অতিক্রম করে এসব সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারেন,’- রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত ভারত-বাংলা কবিতা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
আজ জাতীয় কবিতা পরিষদ ও ভারত-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার পংকজ শরণ, সব্যসাচি কবি সৈয়দ শামসুল হক এবং ভারত-বাংলা ফাউন্ডেশনের বোর্ড মেম্বার কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ। জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি মানুষে মানুষে সম্পর্ক তৈরি হলে বন্ধুত্বের বন্ধন আরো দৃঢ় হয়।তাই দু’দেশের মানুষের মধ্যে শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান সংকট নিরসন সম্ভব।
পারস্পরিক সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ভারত-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয় গত বছরের শেষ দিকে। আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমরা সংস্কৃতির অভিযাত্রায় যুক্ত হয়েছি। এটি দুই দেশের সংস্কৃতি বিনিময়ের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যোগ করলো।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, সেসময় যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল প্রতিদিন তাকে দৃঢ়তর করার মধ্য দিয়ে আমরা সেই ঋণ শোধ করার চেষ্টা করছি।
ভারত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের বোর্ড মেম্বার অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, এর মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিনিময় মৈত্রীর নতুন সড়ক উন্মোচিত হলো।
তিনি বলেন, এই উদ্যোগ কেবল দু’দেশের নয়, আমাদের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিশেষ মাত্রিকতা বিশ্বের সামনেও তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি করবে।
ভারতীয় হাই কমিশনার পংকজ শরণ এই ফাউন্ডেশনের প্রথম অনুষ্ঠানটি কবিদের নিয়ে আয়োজন করায় সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দেশের একজন খ্যাতনামা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সংস্কৃতি মন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি বলেন, এই ফাউন্ডেশন ভারত ও বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যম। এটি দুই দেশের সংস্কৃতি বিনিময়ের ক্ষেত্রে ‘ক্যাটালিস্ট’-এর ভূমিকা পালন করবে। তিনি জানান, ভবিষ্যতে এই ফাউন্ডেশনের কর্মপরিধি আরো বৃদ্ধি পাবে।
এ উৎসবে বাংলাদেশের সব্যসাচি লেখক সৈয়দ শামসুল হক, কবি রফিক আজাদ, কবি নির্মলেন্দু গুণ, দিলারা হাফিজ, আসাদ চৌধুরী, হালিম আজাদ, ভারতের বীথি চট্টো