পাবনার সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আয়োজনে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি জেলা পরিষদ প্রশাসক এম সাইদুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পরিষদের রশিদ হল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অংশ গ্রহণ করেন অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকি, প্রফেসর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, প্রফেসর মুহাম্মদ নুরুন্নবী, ইউনিভার্সাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কবি সোহানী হোসেন, সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ পাবনার সাধারণ সম্পাদক ডা. রাম দুলাল ভৌমিক, হিউম্যান রাইটস এন্ড পীস ফর বাংলাদেশ এর সদস্য অ্যাডভোকেট সানোয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মাসুদ হোসেন খান, অ্যাডভোকেট ইমরুল কায়সার, অ্যাডভোকেট মামুন আলীসহ শিক্ষক, আইনজীবি, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সংস্কৃতিকর্মী, এনজিও কর্মী, ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ বলেন, আমাদের সংবিধানে বলা আছে অতীতের সকল ঐতিহাসিক নিদর্শন স্থানগুলো রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। মহানয়িকা সুচিত্রা সেনের পাবনার বাড়িটিও একটি ঐতিহাসিক স্থান। এটা কেউ দখল করে রাখতে পারে না। এটা রক্ষার দায়িত্ব সরকারের।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, পাবনাবাসী যদি সুচিত্রা সেনের বাড়ি উদ্ধারে উদ্যোগ না নিতেন তাহলে এই বাড়ির ইতিহাস ভিন্নখাতে লেখা হতো। আমরা ইতিহাস থেকে ছিটকে পড়তাম। সুচিত্রা সেনের বাড়িতে আন্তর্জাতিকমানের সুচিত্রা সংগ্রহশালা তৈরী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাস্তবমুখী মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
সভায় মুক্ত আলোচনা পর্বে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের নানা বাড়ি বৃহত্তর পাবনার বর্তমানের সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচির সেন ভাঙ্গাবাড়ি গ্রামের তাদের বে-দখল হয়ে যাওয়া প্রায় দুই শত বিঘা জমি উদ্ধারে মানবাধিকার সংগঠক ও হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
সভায় ‘সুচিত্রা ম্যুরাল স্থাপন, হেমসাগর লেনটিকে সুচিত্রা লেন নামকরণ, সুচিত্রার চলচ্চিত্র ও চিত্র প্রদর্শন, সুচিত্রার আসবাবপত্র সংরক্ষণ, একটি ছাত্রী হোস্টেলের নাম সুচিত্রার নামে রাখা, তার জীবনী নিয়ে লেখা বই, পত্রিকা সংরক্ষণসহ বিভিন্ন প্রস্তাবনা রাখা হয়।
উলে¬খ্য, সূচিত্রা সেনের বাড়ীটি জামায়াত নিয়ন্ত্রত ইমাম গাযযালী ইনষ্টিটিউটের হাত থেকে দখল মুক্ত করার জন্য ২০১১ সালে হিউম্যান রাইটস এন্ড পীস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এডভোকেট মনিজল মোরশসদ ও সম্পাদক আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রীট করেন। এই রীটের প্রেক্ষিতে দীর্ঘ শুনানির পর আদালত বাড়িটি দখল মুক্ত করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেন। দীর্ঘ ২৭ বছর পর পাবনার জেলা প্রশাসন ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়িটি দখলে নেন।
- << Prev
- Next